শিরোনাম
আনোয়ারা, প্রতিনিধি :: | ১০:৪৪ পিএম, ২০২১-০৮-০৪
বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্রে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আনোয়ারা গহিরা এলাকার জেলেদের সাথে বাঁশখালী খানখানাবাদ এলাকার জেলেদের সংঘর্ষে অন্তত ২১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এই ঘটনায় মোঃ নাছির (৩০) নামের এক জেলে নিহত হওয়ার বিষয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে দুই উপজেলার মাঝে। জানা যায়, ইলিশের মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে গভীর সাগরে বাঁশখালী উপজেলার জেলেদের সাথে আনোয়ারা উপজেলার গহিরার জেলেদের জাল বসানোর দখলকে কেন্দ্র করে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। কোরবানির ঈদের আগে আনোয়ারার জেলেরা বাঁশখালীর বেশ কয়েকজন জেলেকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে উপকূলে নিয়ে আসেন। পরে আনোয়ারা উপজেলার ৩নং রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানে আলমের উপস্থিতিতে মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বাঁশখালী খানখানাবাদ এলাকার মোঃ এনাম ও আবুল বশরের মালিকানাধীন বড় মাওলানা ফিশিং বোটটি ২২ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে বঙ্গোপসাগরে জাল ফেলতে গেলে আনোয়ারা গহিরা এলাকার দুইটি ?ফি?শিং বোটের সাথে আবারও সংঘর্ষ হয়। এই সময় বাঁশখালির বোটে থাকা ২১ জেলে আহত এবং ১জন নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বাশখালির জেলেরা। ঘটনার বিবরণ দিয়ে বাঁশখালির বোটে থাকা সাদুর রশীদ নামের এক জেলে বলেন, আমরা ২২ জন বোট নিয়ে সাগরে জাল ফেলতে যাই। এ সময় আনোয়ারা গহিরা এলাকার দুইটি বোট এসে আমাদেরকে মারধর করলে আমাদের বোটটি সমুদ্রে ডুবে যায়। এ সময় আমরা প্রায় ১ ঘন্টার মতো পুলা ও কাঠ নি?য়ে সাগরে ভেসে ছিলাম। তারপর অন্য একটি বোট এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে সাগর পাড়ে নিয়ে এলেও নাছির নামে এক জেলে নিঁখোজ রয়েছেন। পশ্চিম বাঁশখালী উপকুলীয় মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি তারেকুল ইসলাম, সম্পাদক মোঃ শোয়াইব বলেন, আমরা লাশ আনার জন্য সাগরে গেলেও আনোয়ারার জে?লেরা আমা?দের লাশ আনতে দেয়নি। ঘটনার বিষয়টি অস্বীকার করে আনোয়ারা গহিরা বোট মালিক সমিতির সভাপতি মো. নাছির বলেন, গতবার ইউনিয়ন পরিষদের সিদ্ধান্ত না মেনে বাঁশখালীর জেলেরা খুঁটি গেড়ে দখল করতে গেলে আনোয়ারার জেলেরা এতে বাঁধা দেওয়ার সময় উভয় পক্ষে সামান্য মারামারির ঘটনা ঘটে। তবে এবার সংঘর্ষে নিহতের বিষয়টি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এই বিষয়ে কোস্ট গার্ডের সিসি রুহুল আমিন বলেন, সংঘর্ষের বিষয়টা শুনেছি তবে নিহত হওয়া লাশের বিষয়টা সম্পর্কে নৌ পুলিশের সাথে কথা হলে তারা জানায়, কোনো লাশ পাওয়া যায়নি। তারপর বাঁশখালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর সাথে কথা বললে তিনি জানায় লাশটা এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি, যারা মারছে তারা না-কি লাশটা নদীতে ফেলে দিছে। আরেকবার শুনেছে তাকে কেউ মারেনি সে পানিতে ডুবে মারা গেছে। তবে বাশখালির (ওসি) আবার ফোন দিয়ে বলেন যে, লাশটা পাওয়া গেছে, তবে সেটা জালে আটকে আছে। এছাড়া সুনির্দিষ্ট কেনো তথ্য নাই। এই বিষয়ে বাঁশখালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ স?ফিউল কবীর ব?লেন, আজ সাড়ে ১২ টার দিকে লাশটা পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য এটার পোস্টমর্টেম এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখন এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। নিহত মোঃ নাছির বাঁশখালি উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ডোয়ালিয়া পাড়া গ্রামের শামশুল আলমের ছেলে। তিনি বাঁশখালি উপজেলার কদমরসুল কুইন্নার পাড়া গ্রামের মোঃ মুহিবুল্লার মেয়ে রানু আক্তার কে বিয়ে করেন এবং তার ১ ছেলে ১ মেয়ে আছে।
গুইমারা প্রতিনিধি :: : রাউজানে পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ রামিম (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হ...বিস্তারিত
রামু প্রতিনিধি : : বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাননী...বিস্তারিত
রাউজান প্রতিনিধি : : রাউজানে পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ রামিম (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হ...বিস্তারিত
মীরসরাই প্রতিনিধি : : মিরসরাই উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আগুনে তিনটি বসতঘর পুড়ে গেছে। বুধবার (৫ অক্টোবর) রা...বিস্তারিত
পেকুয়া প্রতিনিধি : কক্সবাজারের পেকুয়ায় কেয়া ডেন্টাল কেয়ারে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। বুধব...বিস্তারিত
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : : সীতাকুণ্ডের কুমিরায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। অবস্থা এমন যে একটি গ্রামের ঘরে ঘরে জ্বর। আর এসব জ্বর ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited